জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে সালিশ বৈঠকের পর প্রতিপক্ষের হামলায় আহত রাবেয়া বেগম নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্বজনরা গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাবেয়াকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।রবিবার (১৮ মে) দুপুরে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসি বিভাগ।নিহত রাবেয়া বেগম বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের স্ত্রী।এ ঘটনায় রবিবার ৫জনের নাম উল্লেখ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় নিহতের নাতী জুলহাস খান বাদি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় বসবাসরত তার মামা কামাল হাওলাদার অতিসম্প্রতি কর্ণকাঠীতে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন করতে গেলে একই বাড়ির আবুল কালাম আজাদসহ তার ছেলে বানারীপাড়ার ভূমি অফিসে কর্মরত সুজন হাওলাদার, অপর ভাই লিজন, নান্টুসহ অন্যান্যরা বাঁধা দেন। পরে এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।তারই জেরধরে গত শুক্রবার রাতে কর্ণকাঠী চৈতন্য স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন হাওলাদার ও শহিদ খানসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকের রায় আমার মামা মেনে নিলেও প্রতিপক্ষ সুজন হাওলাদার গং’রা মেনে নেয়নি। তারা সালিশ বৈঠক শেষে রাতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে রাবেয়া বেগম, লিমা বেগম, রুমা বেগম, কামাল হাওলাদার ও জুলহাস খান আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও ওইদিন গভীররাতে আহত বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পরলে দ্রুত তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে রাবেয়া বেগমের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজন হাওলাদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ বিছিন্ন পাওয়া যায়। তাই অভিযুক্তর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর