দক্ষিণ ভারতের অন্যতম বৃহত্তম শহর হায়দরাবাদে বিখ্যাত চারমিনারের কাছে গুলজার হাউস এলাকায় একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ রবিবার (১৮ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনায় আহতের নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়, তবে বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।ঘটনাস্থলে গিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি বলেন, ‘পরিবারটি তাদের দোকানের ওপরের তলায় বাস করত। আমি কোনো দোষারোপ করছি না, কিন্তু পুলিশ, পৌরসভা, দমকল ও বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আজ দমকল কর্মীদের কাছে যথাযথ সরঞ্জাম ছিল না বলে শুনেছি। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে।’রেড্ডি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করা হবে।তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি এই ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও দ্রুত সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।তেলেঙ্গানার মন্ত্রী পুন্নম প্রভাকর বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত শিগগিরই গণমাধ্যমে জানানো হবে।এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন তিনি।পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটিতে মূলত একটিই প্রবেশপথ ছিল। তবে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে আরেকটি প্রবেশপথ তৈরি করা হয়। ভবনের ভেতরে আটকে পড়া অধিকাংশ মানুষ তখন অচেতন ছিলেন। চারমিনার সংলগ্ন গুলজার হাউস এলাকাটি হায়দরাবাদের অন্যতম পুরোনো এবং ঘনবসতিপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। বহু পুরোনো দোকান এবং বসতবাড়ি পাশাপাশি গড়ে ওঠায় বেশ দুর্বল এখানকার অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর