ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ। এটি মুসলমানদের কিবলা, তাঁরা এদিকে মুখ ফিরে নামাজ পড়েন। হজ ও ওমরাহ পালনের সময় মুসলমানরা কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন। পবিত্র কাবাঘর শুধু একটি ইমারত নয়, এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমানের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রবিন্দু। তাবেঈ মাকহুল (রহ.) বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) কাবা দেখে এ দোয়া পড়তেন,اللهمَّ زِدْ هذا البيتَ تشريفًا وتعظيمًا وتكريمًا ومهابَةً وزِدْ مِن شرَفِهِ وعِظَمِهِ مِمَنْ حجَّهُ أو اعتَمرَهُ تشريفًا وتكريمًا وتعظيمًا ومهابَةً وبِرًاউচ্চারণ: আল্লাহুম্মা যিদ হাযাল বাইতা তাশরীফান ওয়া তা’যীমান ওয়া তাকরীমান ওয়া মাহাবাতানওয়া যিদ মিন শারাফিহি ওয়া ই’যামিহি মিম্মান হাজ্জাহূ আও ই’তামারাহূ তাশরীফান ওয়া তাকরীমান ওয়া তা’যীমান ওয়া মাহাবাতান ওয়া বিররান।অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি এই পবিত্র ঘরকে আরও বেশি সম্মান, মর্যাদা, মহিমা ও ভয়-ভক্তিতে পূর্ণ করুন। আর যারা হজ বা উমরা করে তাদের মধ্য থেকেও এই ঘরের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করুন — তাদেরকে সম্মান, মর্যাদা, মহিমা, ভয়-ভক্তি ও পূণ্য দ্বারা অধিকতর সম্মানিত করুন। (ইবনে হাজার, তালখিসুল হাবীর) হজ ও ওমরাহকারীরা কাবা দেখে নবিজিকে (সা.) অনুসরণ করে এ দোয়াটি পড়তে পারেন।কাবা তাওয়াফের সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। তাওয়াফের এমন কোনো নির্দিষ্ট দোয়া নেই যা না পড়লে তাওয়াফ শুদ্ধ হবে না। হাদিসে কয়েকটি দোয়া পাওয়া যায় যা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাওয়াফের সময় পড়েছেন।তাওয়াফ শুরুর সময় ও প্রতি চক্করের শুরুতে হাজরে আসওয়াদের সামনে তাকবির (অর্থাৎ আল্লাহু আকবার) বলা সুন্নত। সহিহ বুখারিতে এসেছে—নবিজি (সা.) কাবা ঘরের চারপাশে উটের পিঠে তাওয়াফ করেছিলেন এবং যখনই তিনি হাজরে আসওয়াদ বরাবর পৌঁছতেন, তখন তার হাতে থাকা একটি লাঠি দিয়ে সেদিকে ইশারা করতেন এবং ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। (সহিহ বুখারি)রুকনে ইয়ামানি থেকে হাজরে আসওয়াদের দিকে যাওয়ার সময় আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরআনে উল্লেখিত এ দোয়াটি পড়েছেন বলে বর্ণিত রয়েছে,رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল-আখিরাতি হাসানাহ ওয়া কিনা আযাবান-নারঅর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সুরা বাকারা: ২০১) (সুনানে আবু দাউদ)এ ছাড়া তাওয়াফের সময় যে কোনো জিকির, কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বা উত্তম অর্থবোধক দোয়া পাঠ করা করা যেতে পারে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর