২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আগামী ২৬ মে আপিল বিভাগে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ মামলায় সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়। পরে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত আর্টনি জেনারেল অনিক আর হক ও আসামিদের পক্ষে আডভোকেট এস এম শাহজাহান, আ্যডভোকেপ শিশির মনির, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল অংশ নেন।গত ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়।২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।একই সঙ্গে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন।২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়েছে।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২ জন।৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। তাদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ৩১ জন কারাগারে ছিলেন। পলাতক ছিলেন বাকি ১৮ জন।এইচএ

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
ইরান থেকে তেল কিনেছে বাংলাদেশ?
ইরান থেকে তেল কিনেছে বাংলাদেশ?

ইরান তার অপরিশোধিত তেলের নতুন ক্রেতা খুঁজে পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানি তেলের নতুন দুই ক্রেতা সম্ভবত বাংলাদেশ ও Read more

প্রতাপশালী শিল্পপতি অথচ ‘বিনয়ী’ রতন টাটার কাহিনী
প্রতাপশালী শিল্পপতি অথচ ‘বিনয়ী’ রতন টাটার কাহিনী

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভারতীয় শিল্পপতিদের মাঝে রতন টাটা অন্যতম, যিনি ৮৬ বছর বয়সে গতকাল মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় বোমা হামলার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে ইসরায়েলিরা
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় বোমা হামলার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে ইসরায়েলিরা

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় বোমা হামলার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে ইসরায়েলের সাধারন মানুষ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবনের তোয়াক্কা Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন