পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক যুবলীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মারধর, অর্থ ছিনতাই এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মো. মজিবর রহমান মঙ্গলবার (১৩ মে) দেবীগঞ্জ থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মৃত বকসু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবুল, আবু সামার দুই ছেলে মো. নাঈম ও মো. ফাহিম এবং আবু হানিফের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন।জানা গেছে, অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবুল দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নাঈম ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। অন্যান্যরাও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ মে (শুক্রবার) মজিবর রহমান ডোমার উপজেলার বসুনিয়ারহাট থেকে ফিরছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে দেবীগঞ্জের সোনাহার বটতলী এলাকায় পৌঁছালে অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার পথরোধ করে। হাবুলের নির্দেশে নাঈম, ফাহিম, আনোয়ারসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে গালিগালাজ করে এবং লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে হাবুল তার পকেট থেকে জোরপূর্বক ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর নাঈম তার গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করে। পথচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং ফের হত্যার হুমকি দেয়।স্থানীয়দের সহায়তায় মজিবর রহমানকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর শনিবার রাতেই সোনাহার গজপুরী মুন্সী পাড়ার শতাধিক মানুষ হাবুলের গ্রেপ্তার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ মিছিল করে। তবে ওসি সোয়েল রানার আশ্বাসে তারা সেখান থেকে ফিরে যান।মজিবর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “হাবিবুর রহমান হাবুল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। সে দাঙ্গা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এবার আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও হত্যাচেষ্টা করেছে।”অভিযুক্ত হাবুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা নেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন, তাই তাকে থানায় ডাকা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর