ভোলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকদের উপর জেলা প্রশাসনের দেওয়া শর্ত শিথিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা সিএনজি অটোরিকশা চালক ও শ্রমিকরা।সোমবার (১২ মে) দুপুর ১টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।জানা গেছে, বাস শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় গেলো ৬ মে বাস শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সমাঝোতা বৈঠক হয়। সেখানে সিএনজি অটোরিকশাকে ভোলার পরানগঞ্জ বাজার থেকে ইলিশা লঞ্চ ঘাট পযন্ত মহাসড়ক বিবেচনা করে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়াও সিএনজি অটোরিকশার চালকের সিটে যাত্রী উঠানো নিষেধ করা হয়। জেলা সিএনজি মালিক ও চালক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান জানান, গেল সমঝোতা বৈঠকে জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের যে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাতে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সঠিক গন্তব্য যেতে বা পেড়ে যাত্রী সংকট হচ্ছে, এতে চালকরা ভাড়া পাচ্ছে না। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পরেছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক ও শ্রমিকরা। জেলা প্রশাসনের দেওয়া শর্ত শিথিলের দাবি আমাদের আজকের এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। এছাড়াও তাদের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতিও অনুরোধ জানান তিনি। কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, আজ ১০দিন আমাদের গাড়ি চলছে না। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন পার করছি। বাস শ্রমিকরা আমাদের উপর ঝুলুম করছে। সারাদেশে সিএনজি অটোরিকশা নির্বিঘ্নে চললেও ভোলায় কেন এতো বৈষম্য? আমরা এই বৈষম্য চাই না। আমরা বিগত দিনেও স্বৈরাচারী আচরনের শিকার হয়েছি। এখনো আমাদের এই ক্ষুদ্র সিএনজি অটোরিকশার উপর এতো এতো শর্ত দেওয়া হচ্ছে যা বৈষম্য। তারা আরও বলেন, পূর্বের ন্যায় ভোলার সকল সড়কে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দিতে হবে। আমাদের গাড়িতে ৫ জন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। অন্যথায় সিএনজি চালকরা না খেয়ে মারা যাবে। এছাড়াও আমাদের দাবী না মানা পযন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।এর আগে সকালে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির ব্যানারে কয়েকশত সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর