ছাত্র-জনতার দুদিনের টানা আন্দোলনের পর অবশেষে নিষিদ্ধ করা হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম। সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসার পরপরই কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে ছাত্র-জনতা।শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদ চত্বরে আগে থেকেই অবস্থান ও কর্মসূচি পালন করা ছাত্র ও সাধারণ জনতার অংশগ্রহণে এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কালীবাড়ী মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো’, ‘এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগের ঠিকানা’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, আওয়ামী লীগ গেলি কই’, ‘ঘরে ঘরে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।আনন্দ মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোদ্ধা আশরাফ আলী সোহান বলেন, বাংলাদেশের বুকে যখনি ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছে তখনই ছাত্র জনতা মাঠে নেমে এসেছে। ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামীলীগকে ছাত্রজনতা এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে তেমনই সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে ছিল। বর্তমান ইন্টেরিয়র সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, এতে আমরা সাময়িক খুশি হলেও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে। সেই সাথে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে দ্রুততার সাথে।এর আগে, শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৮টায় যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর