চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে জামায়াতের প্রতিবাদ সভায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চার জন। এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও জামায়াতের নেতা শহিদুল ইসলামের উপর হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (০৯ মে) বিকেল বেলা এই হামলার ঘটনা ঘটে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানায়, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী জুমার নামাজের পরে জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ জমায়াত নেতারা এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও জামায়াতের নেতা শহিদুল ইসলামের উপর হামলার প্রতিবাদ সভাস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ২০-৩০ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সমাবেশ উপস্থিত হয়ে অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে হামলা চালায়।সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী। আলী হোসেন, নিজাম উদ্দীন, সাইফ উদ্দিন। এছাড়াও আরও আহত হন ৬ জন জামায়াতের নেতাকর্মী। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ জামাতের ৭/৮ জন নেতা কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।সীতাকুন্ড উপজেলা জামাতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে গত বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা উপুর্যপরি হামলা করে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে। তাই ইউনিয়ন জামাতের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভায় উপজেলা ও স্থানীয় জামাত নেতৃবৃন্দ সমাবেত হলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সভা পন্ড করে দেয়। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে চার জামায়াত নেতাসহ ১০ জনের অধিক জামায়াত নেতা গুরুতর আহত হযেছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে চচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা বলেন, বিএনপি ও জামাত আলাদা ভাবে প্রোগ্রাম করছিল। এ সময় বিএনপি সমর্থিত কিছু লোক এসে সভায় অতর্কিত হামলা করে। এতে জামায়াত কযেকজন নেতাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর