সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণী-কাঁঠালবাড়ী সংঘর্ষের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো কোনো আর্থিক সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংঘটিত ওই সংঘর্ষে দক্ষিণ বুড়দেও গ্রামের অন্তত সাতটি পরিবার চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন।সংঘর্ষে তাদের ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গবাদিপশু, নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়িয়ে ও লুট করে নেয় উত্তেজিত জনতা। এ ঘটনায় নারী-শিশুদের নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়, ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসন অবগত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ নেয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে বা সরকারিভাবে একটু সহায়তা করলে তাদের দুঃখ-দুর্দশা কিছুটা হলেও লাঘব হতো। ফলে কূলকিনারা না পেয়ে আর্থিক সহায়তার জন্য গত ৭ মে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, তার দুটি গরু, নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ প্রায় ২ লাখ ৯২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্য ভুক্তভোগীদের মধ্যে জসিম উদ্দিনের ক্ষতি ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, নবী হোসেন মিয়ার ৮০ হাজার, মিলন মিয়ার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা এবং হেলাল মিয়ার ক্ষতি হয়েছে ২৭ হাজার টাকা। মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়াল মিয়ার বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়। হেলেনা বেগমের ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার টাকা।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর