বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় উদ্বোধনের আগেই একটি ব্রীজে (বক্স কালভার্ট) ফাটল ধরেছে।ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধিনে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রফিয়াদি বেলায়েত হাওলাদার বাড়ী সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে এ ব্রীজে (বক্স কালভার্ট) নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণে অতিমাত্রায় অনিয়ম এবং নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ব্রীজটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানাগেছে।বুধবার (৭ মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটির কাজ শেষ হলেও গাইড ওয়ালে ফাটল ও ভেঙ্গে পরে যায়। ফাটলের স্থানে বালু ও সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে।সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা দফায় দফায় প্রতিবাদ করলেও কোনো প্রতিকার দেখছে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গাইড ওয়াল ভেঙে ফেলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ঠিকাদার গাইড ওয়াল না ভেঙ্গে ফাটল জায়গাগুলো ডাকতে বালু ও সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করে যাচ্ছে।এদিকে ব্রিজটি নির্মাণকালে যথাযথভাবে তদারকি হয়নি বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৪-২৫ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের ব্রীজটি (প্রায় ৪০ লাখ টাকায়) নির্মাণ কাজ পায় মা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার মো. জয়নাল ও সুরুজ গাজী। সুরুজ গাজী বলেন, সাব ঠিকাদার গাইড ওয়াল নির্মাণের পর পর্যাপ্ত পানি না দেওয়ায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে গাইড ওয়ালটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হবে।বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সোহেল হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন বক্স কালভার্টে ফাটলের বিষয়টি শুনেছি। ঠিকাদার ৪ মাস আগে কাজটি শুরু করে। এখনও কাজ হস্তান্তর হয়নি। ওই কাজের বিল এখনও ঠিকাদার পায়নি। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।বিষয়টি নিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কামরুন্নাহার তামান্না এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছে। তবে স্যার আসলে বিষয়টি তাকে অবগত করা হবে।তিনি আরো বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম অথবা ব্রিজের ফাটল দেখা গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর