গরুর গাড়ি বা ধান বহনের জন্য ট্রলি চলাচলের রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে দুইশো বিঘা জমির ধান মাথায় করে ঘরে তুলতে হয়। প্রতি মৌসুমে যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়ার আড়শিংড়ী গ্রামের অর্ধশতাধিক চাষির এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷ চাষাবাদ যেন তাদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের দুর্ভোগ নিরসনে সরকারিভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। চাষিরা জানান, ভারতের সীমান্তবর্তী চৌগাছা উপজেলার পুকুরিয়া মাঠে আড়শিংড়ী গ্রামের ৬০ কৃষকের ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। জমিতে ধানসহ নানা ফসলের আবাদ করেন। কিন্তু ফসল ঘরে নিয়ে তোলা নিয় তাদের দুর্ভোগের কবলে পড়তে হয়। কেননা মাঠে গরুর গাড়ি কিংবা ট্রলি যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। ব্রিটিশ আমল থেকে মাঠের ভিতর দিয়ে একটি সরকারি রাস্তা থাকলেও বিজিবি ক্যাম্পের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ক্যাম্পের পাশে রাস্তার তৈরি করার মতো খালি জায়গা থাকলেও জমির মালিক রহিমা আক্তার সুখি দিতে চাইছেন না। চাষিরা আরও জানান, বিগত দিনে চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে এসআই মারুফ বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছিলেন। রাস্তা তৈরির জন্য চাষিরা মিলে রহিমা আক্তার খুশিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু কিছু দিন পর তিনি টাকা ফেরত দিয়ে রাস্তা তৈরির জন্য জমি দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। চাষি আব্দুল্লাহ আলী জানান, ওই মাঠে তার প্রায় ১০ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। গরুর গাড়ি কিংবা ট্রলি চলাচলের রাস্তা না থাকায় মাথায় করে ফসল বাড়িতে আনতে হয়। আরেক চাষি আব্দুল কাদের জানান, তার বাড়ি থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দুরে পুকুরিয়া মাঠ। অথচ রাস্তার অভাবে গাড়িতে ফসল নিয়ে আসার সুযোগটুকু নেই। অর্ধশত চাষির দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু নজর প্রয়োজন। চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইসলাম জানান, চাষিরা দুর্ভোগের বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর