ছাত্রাবাস সংস্কার, শ্রেণিকক্ষের সংকট নিরসন, পরিবহন সংকট নিরসনসহ ৭ দফা দাবিতে আগামীকাল (৭ মে) বৃহত্তর আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (৬ মে) কলেজের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সামাজিক সংগঠন সহ কলেজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা একথা জানান।আন্দোলনের বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, কবি নজরুল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানান সংকট ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে তাদের শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে হল সংস্কার, পরিবহন সংকট, শ্রেণীকক্ষ সংকটের দাবি জানানো হলেও আদতে এর কোন সমাধান হয়নি। এবার কলেজের সকল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা দলমত নির্বিশেষে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। এই আন্দোলনের সাথে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদল একাত্মতা পোষণ করেছে।কবি নজরুল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি বায়জিদ মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবি যৌক্তিক। বিগত সময়ে অসংখ্যবার শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। আমরা চাই, আমাদের দাবি পূরণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।কবি নজরুল কলেজ বিতর্ক ক্লাবের সভাপতি আজম খান ৭ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ১৫৩ বছরের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজ দাঁড়িয়ে থাকলেও এখনও শির উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। শির উঁচু করে দাঁড়াতে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় ছাড়া কোন বিকল্প নেই।কবিয়াল সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুন নূর বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ রাজধানীর প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এটি নানান সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তিযুক্ত দাবি তুলে ধরলেও তাঁর কার্যকরী কোন ফলাফল চোখে পড়েনি। তাই এবার শিক্ষার্থীরা নিজেদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানান। পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেই দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়। দাবি গুলো হলো:১. হল সংস্কার ও হলের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।২. ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ।৩. শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।৪. শ্রেণীকক্ষের সংকট নিরসনে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হবে।৫. ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য নতুন জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।৬. কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।৭. দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক সংকট নিরসন করতে হবে।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর