কিশোরগঞ্জের ইটনায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজ শাখা ছাত্রদলের রোহান মিয়া নামে এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু আহত হয়েছেন।সোমবার (০৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোহান মিয়া একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কলেজ শাখা ছাত্রদল কমিটির আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজুর চাচাতো ভাই।জানা যায়, গত ২ মে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন স্বাক্ষরিত ইটনা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নবগঠিত কমিটির সদস্যরা আনন্দ মিছিল করার প্রস্ততির সময় অপরপক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেয়। এছাড়াও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আহত হয়েছে।এ বিষয়ে ইটনা কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু জানান, আজ সোমবার নবগঠিত কলেজ কমিটির পক্ষ থেকে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজমানুর রহমান সুজন আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান মিয়ার ডান পায়ের গোড়ালির রগ কর্তন করা হয়।এছাড়াও হামলায় আমি নিজে আহত হয়েছি। আহত রোহান মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হবে।এ বিষয়ে ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজমানুর রহমান সুজন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজুকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ ভাইকে বলে আমিই আহ্বায়ক বানিয়েছি। পায়ের রগ কর্তনের ঘটনা কলেজ কমিটির আজকের কলেজের ভেতরের সংঘর্ষের বিষয়ে নয়, এটি কলেজের বাইরের স্কুলের সামনে অন্য একটি ঘটনায় রোহানের পা কেটে গেছে। ইটনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবালের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর