ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মন্দিরসহ পাঁচটি স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম জালালউদ্দিন আহমেদের ছেলে শাকিল আহমেদকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার (২ মে) সকালে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় ও গ্রামবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।এতে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শাকিল আহমেদ কোনো দিন কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না। বরং বিভিন্ন সময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল তার। এটাই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সম্প্রতি যৌথবাহিনীর সদস্যরা তার বোয়ালমারী বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অপরাধের প্রতিবাদ করায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের ইন্ধনে তাকে যৌথবাহিনী আটক করার পর অস্ত্র ও মাদক মামলায় জড়িয়ে হয়রানীর ঘটনা ঘটানো হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি গ্রামে কে বা কাহারা একটি মন্দির, একটি করাতকল ও তিনটি বসতঘরের রান্নাঘরে প্রায় একইসময়ে আগুন দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে শাকিল আহমেদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় পৃথকভাবে দায়েরকৃত তিনটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এম জালালউদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, তার ছেলে গ্রাম্য অপরাজনীতির ষড়যন্ত্রের স্বীকার। কারণ এলাকায় যেদিন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল ওইদিন সে বোয়ালমারীর বাসায় অবস্থান করেছিল। প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে প্ররোচিত করে তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হয়েছে। এসময় তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘মন্দিরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় পৃথকভাবে ৩টি মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি করার কোন সুযোগ নেই।’এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর