পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আহত মো. শাহ আলম রাঢ়ী (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (০১ মে) সকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে।সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ, শুক্রবার গোসিংগা গ্রামে ছাগলে শাহ আলম রাঢ়ীর খেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশি রাজু ঘরামির (৬০) কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাজমা বেগম বাড়িতে চলে যায়। ওই ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ঘরামি ২০-২৩ জনের একটি দল নিয়ে শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা নাজমা বেগমকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী শাহ আলম ও তার ছেলে রাকিব (২০) এগিয়ে গেলে তাদের দুইজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ২২।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনার সময়ই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর