মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষি অফিসারদের তুষ্ট করে নিজেদের পক্ষে সাফাই গাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে মাসুদ সিড নামক একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এসম্পর্কে জানতে চাইলে মাসুদ সিড কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিএম মহাসিন বলেন, আমায় টাকায় চুলকায় তাই আমি টাকা দিয়া লোক আইনা বসায়।কিভাবে তিনি কৃষি অফিসারদের তুষ্ট করেছেন জানতে চাইলে বলেন, হয়ইাও থাকলে আমি তো এটা বলবো না। আপনি যা মন তাই লিখতে পারেন। গতকাল (২৮ই এপ্রিল) গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মাঠে মাসুদ সিড নামক একটা বীজ কোম্পানির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিএডিসি থেকে দেওয়া সরকারি প্রণোদনার বীজ না নিয়ে মাসুদ সিড কোম্পানির বীজ কেনার নির্দেশনা দেন গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার রাসেল রানা। অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তার বক্তব্যে বলেন, আমরা আপনাদেরকে সবসময়ই বলি যার এক কেজি বীজ কেনার ক্ষমতা আছে সে কখনোই প্রণোদনার বীজ নেবেন না। প্রণোদনার বীজ নিলে সর্বোচ্চ আপনি এক হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন কিন্তু আল্টিমেটলি আপনার যে ফলনটি হত বিএডিসির বীজে সে ফলনটি হবে না। এজন্য আপনাকে চুজ করা লাগবে প্রথমে একটি ভাল কোম্পানি। সেক্ষেত্রে মাসুদ সিড কোম্পানির পারফরম্যান্স খারাপ না। জানা গেছে, মাসুদ সিড কোম্পানি কৃষকদের নানান প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের প্রোডাক্ট বাজারজাত করছে। আর এই বাজারজাত কাজ সহজ করতে কৃষকদের নিয়ে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করে কৃষি অফিসারদের নানাভাবে তুষ্ট করে তাদের ব্যবহার করছে। অতিরিক্ত কৃষি অফিসারের দেওয়া বক্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। সাজেদুর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, সরকারি বীজের প্রতি যদি কৃষি অফিসারের আস্থা না থেকে তবে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বিএডিসি থেকে কেন প্রণোদনার বীজ নেয়। নাম সর্বস্ব কিছু কোম্পানির এসে নিম্নমানের বীজ বাজারজাত করে সে সব কোম্পানির যদি কৃষি অফিসাররা প্রচার-প্রসার চালাই তাহলে এটা দুঃখজনক। উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মাঠে মাসুদ সিডের গতকাল (২৮ই এপ্রিল) ওই অনুষ্ঠানে অনেককেই খাবারের প্যাকেটের প্রলোভন দেখিয়ে আনেন তারা। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান শেষে খাবারের প্যাকেট ঠিকমতো দিতে না পারায় গালিগালাজ ও শুনেন ওই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর