গতকাল প্রথম দিনের দুই সেশনে দাপট দেখালেও শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ উইকেটেই ১৭৭ রান থেকে জিম্বাবুয়ে দিনশেষ করে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে। আজ (২৯ এপ্রিল) ২২৭ রানে ৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে তবে শুরুতেই হলো শেষ। চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তাইজুল ইসলাম আগের দিনই ৫ উইকেট নিয়ে তাদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে তুলে নিলেন নিজের ৬ষ্ঠ উইকেটও। দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলে সুইং পেয়েছেন ক্রিজ থেকে। সঙ্গে ছিল খানিক বাউন্স। বাইরের দিকে চলে যাওয়া বলটায় খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। আম্পায়ার অবশ্য আবেদন ফিরিয়েই দিয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল অবশ্য গতকাল শেষ বিকেল থেকেই বাংলাদেশের হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়ার কাজটা করেছিলেন দারুণভাবে। ৮১তম ওভারে পরপর দুই বলে পেয়েছিলেন দুই উইকেট। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যাওয়া নিক ওয়েলচকেও সুবিধা করতে দেননি। দিনের শুরুতেই দারুণ শুরুর পর জিম্বাবুয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তাইজুলের ওই ফাইফারের সুবাদে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার বেনেট এবং বেন কারেন। বেনেট ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হওয়া তানজিম সাকিবের প্রথম টেস্ট উইকেট। আর বেন কারেনকে ফেরান তাইজুল। এরপরেই নিক ওয়েলচ আর শন উইলিয়ামসের একটা রেকর্ডগড়া জুটিতে খানিক ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৪ বলের ব্যবধানে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান নাইম ইসলাম। এরপরে জিম্বাবুয়ে উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। তাইজুলের ৬ উইকেটের পাশাপাশি নাইমের ৩ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে তাই নাগালের মাঝেই রেখেছে বাংলাদেশ। এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর