কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এবং ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। তার এই অংশগ্রহণে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি উপজেলার কদমতলা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ এবং কোরআনের আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসব কর্মসূচিতে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় জামায়াতের উপজেলা আমীর লোকমান হোসেনসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।জানা যায়, চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অতীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশেও অংশ নিয়েছিলেন। এবার জামায়াতের কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ রাজনৈতিকভাবে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমি আওয়ামী লীগ করেছি, এটা সত্য। তবে ওনাদের কোরআনের বিষয়গুলো ভালো লাগে, তাই অংশগ্রহণ করেছি।” এদিকে জামায়াত আমীর লোকমান হোসেন জানান, “সিরাজুল ইসলাম ২০২৩ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন, যদিও এখনও কোনো পদ পাননি। যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার বিচার হবে।”অন্যদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসীন ভূঁইয়া বলেন, “জামায়াত নেতারা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে রাজনৈতিক অপরাধে লিপ্ত হচ্ছেন। এটি রাজনৈতিক নীতিনৈতিকতা ও আদর্শের পরিপন্থী।”তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের আদর্শ ও নীতির প্রতি সৎ থাকা।”এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর