মানুষের সাথে মানুষের অনেক রকমের সাথে শুত্রুতা থাকে। তাই বলে মাছের সাথে? এ কেমন শুত্রুতা? ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক মাছ চাষির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় চার লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।রবিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নে নতুন হাকিমুদ্দিন বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই মৎস্য খামারির নাম মো.আলমগীর হোসেন। তিনি ওই এলাকার মৃত রুপা মিয়ার ছেলে এবং দীর্ঘদিন যাবত মাছ চাষের সাথে জড়িত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন যাবত মাছ চাষের সাথে জড়িত আছেন। ওই এলাকার মানিক ফরাজি থেকে বেশ কিছু জমি ১৫ বছরের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। লিজকৃত জমির ১২ শতাংশে একটি হ্যাচারী রয়েছে তার। গত ১ মাস আগে ময়মনসিংহ থেকে ৮৪ হাজার কৈ মাছের রেনু পোনা এনে ওই হ্যাচারীতে ছাড়েন তিনি। এরপর সেগুলো রক্ষনাবেক্ষন করতে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করে রোববার দিবাগত রাত থেকে পুকুরে মাছ মারা যাওয়া শুরু করে। মৎস্য চাষী আলমগীর হোসেন জানান, কিছু বুজে উঠার আগেই পুকুরের সব মাছ মরে শেষ হয়ে গেছে। এতে তার ৮৪ হাজার কৈ মাছের পোনায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিবেশী নরুদ্দিন তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ করেন আলমগীর। স্থানীয়রা গভীর রাতে তাকে পুকুরের পাশে দেখতে পেয়েছেন। এরপর সকালে পুকুরের সব মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠে। এছাড়াও গেলো ৫ আগষ্টের কিছুদিন আগে নুরুদ্দিন তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস করেছেন।তিনি আরে জানান, এর আগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেও ন্যায় বিচার পাইনি। যার ফলশ্রুতিতে আজকে আবারও সে আমার খামারে বিষ প্রয়োগ করে আমার ক্ষতি সাধন করেছে। মাছের সঙ্গে এমন শত্রুতা যারা করেছেন তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।তবে অভিযোগের বিষয়ে নুরুদ্দিনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে তিনি পালিয়ে চলে যান।বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনজ কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাদের একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছেন। ঠিক কি কারনে মাছ মারা গিয়েছে তা পানি পরিক্ষা করে বলতে হবে। তবে পানি পরিক্ষা করার মেশিন ভোলায় নেই। এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর