সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ২ দল গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষে মদিন মোল্লা (৬০) নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরো কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত মদিনা মোল্লা ওই গ্রামের মৃত ছবির মোল্লার ছেলে।রবিবার (১৩ই এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের বড়ধুনাইল গ্রামে হালিম, রাজ্জাক, মালেক মেম্বার গ্রুপের সাথে জাফর, মুসা মেম্বার গ্রুপের সংঘর্ষের সময় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার সকালেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় হালিম ও রাজ্জাক গ্রুপের হামলায় জাফর ও মুসা মেম্বার গ্রুপের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এসময় নারী শিশুসহ ২০ জন আহত হয়।জানা যায়, ওই গ্রামে সরকারি প্রায় ১৫০ বিঘা খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ ২ দল গ্রামবাসীর মাঝে বিরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। এরই জেরে ধরে সম্প্রতি উভয় গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে গতকাল ও আজ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় গ্রামবাসী ২ গ্রুপ। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আছলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শাজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান।এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু মুছা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ হালিম, রাজ্জাক ও মালেক মেম্বারের নেতৃত্বে তাদের লোকজন আমাদের গ্রামবাসীর উপরে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গতকাল তারা আমাদের লোকজন ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ১৫/২০ জনকে আহত করে এবং, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। আজ আবারো একই কায়দায় আমাদের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে মারধর করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে মদিন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে তাকে লাঠি ও ফালা দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে হত্যা করেছে।এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় ও আমি সহ থানা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে নিহত মদিন মোল্লার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর