ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং মার্কিন নৌবাহিনীর অবস্থানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে।রোববার (১৬ মার্চ) রাতে দেওয়া এক ভাষণে সারি বলেন, ‘মার্কিন শত্রু ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় ৪৭টির বেশি বোমা ফেলেছে। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীও মার্কিন সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যেতে পিছপা হবে না’।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারি আরও জানান, মার্কিন বাহিনী তাদের সর্বশেষ আগ্রাসনে বহু গণহত্যা চালিয়েছে এবং বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। এরই জবাবে ইয়েমেনি বাহিনী ১৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।এই হামলার প্রেক্ষাপট হিসেবে তিনি শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সমন্বিত বিমান হামলাকে উল্লেখ করেন। যা মূলত ইসরাইলি আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে চালানো হয়েছে।এদিকে ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি এক ঘোষণায় জানান, গাজা উপত্যকার সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর ইয়েমেন ইসরাইলি জাহাজ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকর করেছে।তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসন কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়বে এবং ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন বিমানবাহী রণতরী এবং এই অঞ্চলে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে।একই সঙ্গে আল-হুথি ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরাইলগামী কোনো জাহাজকেই আমরা ছাড় দেব না এবং যে কোনো সময় সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে’।আবদুল-মালিক আল-হুথি এর আগে ইসরাইলকে চার দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন। যাতে তারা গাজার সীমান্ত খুলে দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেয়। সূত্র: মেহের নিউজএমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর