ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঐতিহ্যবাহী ছতরপুর শাহী ঈদগাহ্ মসজিদ। যে মসজিদ তৈরি করতে বানানো হয়েছিল একটি ইটভাটা। ওই ইট ভাটার ইট পুড়িয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যা ২০০ বছর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে এখন দাঁড়িয়ে আছে।জানা যায়, প্রায় ১৮৬৬ সালে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামে চৌধুরী বাড়ির পূর্বপুরুষ প্রয়াত আমজাদ হোসেন চৌধুরী। মসজিদ নির্মাণ করা প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে। মসজিদটির সবার নজর কাড়ে আদি কালের নকশা ও কারুকলা কাজে জন্য । মসজিদটির মধ্যে ৩ টি গুম্বজ রয়েছে। মাঝের গুম্বজটি আকারে বড়। দুপাশের গুম্বজগুলোর আকার কিছুটা ছোট। ভিতরে এবং বাহিরে চমৎকার কারুকাজ। গোলাপি রংয়ের এই মসজিদটির দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় ৩ ফুট। মসজিটির পাশেই রয়েছে অজুখানা ও ইমাম সাহেবের থাকার স্থান। ৩ পাশে বাউন্ডারি ও মসজিদের সামনে বিস্তৃর্ণ ঈদগাহ মাঠ। সবমিলিয়ে মনোরম পরিবেশে এই নান্দনিক মসজিদটি অবস্থিত। এই মসজিদে প্রতিদিন শতাধিক মুসল্লী পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। শুক্রবার জুমা’আর নামাজ ও মাহে রমজানে তারাবির নামাজে কানায় কানায় পূর্ণ হয় মুসল্লী। মসজিদের ভিতর সংকীর্ণ হওয়ায় মুসল্লিদের জায়গা হয়। তাই মাঝেমধ্যে ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করেন হয়।স্থানীয়রা জানান, এ ঐতিহাসিক মসজিদে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে নামাজ পড়েন। এইরকম গুম্বজওয়ালা মসজিদ এখন আর সচারাচর দেখা যায় না। তাই অনেকেই ছুটে আসেন এই মসজিদটি দেখতে ও নামাজ পড়তে। তারা এই মসজিদটির সংস্কার ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।২১ বছর যাবৎ এই মসজিদে ইমামতি করা ইমাম হাফেজ সিরাজুল ইসলাম বলেন, অর্থের অভাবে মসজিদের সংস্কার করা যাচ্ছে না। তিনি মসজিদটির জন্য সরকারিভাবে অনুদান পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, এটি একটি পুরাতন স্থাপত্য। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে আসে এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে। এই মসজিদটি উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ। এদিকে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদগুলো সংস্কারের জন্য সরকার উদ্যোগ নিবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর