পুলিশের কাজে সকলের সহযোগিতা চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, আমাদেরকে কাজ করতে দেন, আমরা এই সমাজেরই অংশ। আমরা যদি কাজ করতে না পারি, তাহলে আমরা সমাজে কিভাবে স্থিতিশীলতা (স্টেবিলিটি)আনব? আর স্থিতিশিলতা আনতে না পারলে আমরা কিভাবে একটি (ইফেক্টিভ ইলেকশন) কার্যকর জাতীয় নির্বাচনের দিকে আগাবো-যদি আমরা স্থিতিশীলতা আনতে না পারি। স্টেবিলিটি স্থিতিশীলতা তো আমাকে আনতে হবে। আমাকে কেন কাজ করতে দিচ্ছেন না? এটাতো টোটালি ইলজিক্যাল যুক্তিহীন একটা কাজ।তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগরা বাইপাস মোগরখাল এলাকায় গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর কার্যালয়ে বিশেস কল্যাণ সভায় অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, দেশের অপরাধ দমন যদি করা না হয়, শৃংখলা যদি না হয়, নাগরিকরা থাকতে পারবে? এই ১৮ কোটি মানুষের একজনও কি ঘুমাতে পারবে? আপনারা খেয়াল করেছেন, যখন অপরাধ বেড়ে যায়, তখন দেশের অবস্থা কি হয়? তখন রাত জেগে মানুষকেই পাহারা দিতে হয়। কিন্তু এই দায়িত্ব তো আমার। এখন আমাকে যদি দেশের কিছু লোক ভুল বুঝে, দায়িত্ব পালন করতে না দেয় তাহলে পুরো সমাজ বিপথে যাবে।আইজিপি আরো বলেন, কি অবস্থা ছিল ৫ই আগস্ট এর আগে-এটা আপনারা সবাই জানেন। পুলিশের কিছু সিনিয়র অফিসারদের অতি উৎসাহ, রাজনৈতিক আনুগত্য- আমি সরকারি কর্মচারী আমি কিসের আনুগত্য থাকবে? আমি কোন আওয়ামী লীগ-বিএনপি কিছু বুঝি না, কিন্তু উনাদের রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য পূর্বে পুলিশ কলঙ্কিত হয়েছে, সারা বিশ্বে বলে এখন, পুলিশ কিভাবে এত নির্মম হলো? আমরা যা করেছি, পুলিশের সদস্য হিসেবে এই দায়ভারটা এখন আমার ওপর এসে পড়ে। আমি না করে থাকলেও দায়ভারটা এখন আমার উপর আসে।তিনি আরো বলেন, আসলে তখন আমাদের যা করা উচিত ছিল-সেটা আমরা করিনি বরং আমরা মানুষের বিরুদ্ধে গিয়েছি। এটা কিছু সংখ্যক উচ্চাভিলাসি লোকের অন্ধ অন্যায় রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে হয়েছে। এজন্য আমাদের জীবন দিতে হয়েছে।তিনি আরো বলেন, আমাদের যে লোক গুলো মারা গিয়েছে, তারা সুপেরিয়রদের অর্ডার পালন করতে গিয়ে মারা গেছে। তাদের ভুলের জন্য পুলিশ সদস্যরা জীবন দিয়েছে। এই দায়ভার যিনি জীবন দিয়েছেন, তার তো নয়-এই দায়ভার যিনি আদেশ দিয়েছেন তার। নির্দেশদাতাদের অবশ্যই পানিশমেন্ট করতে হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি, যারা এই অন্যায় করেছেন, তাদের অবশ্যই পানিশমেন্ট দিতে হবে। পুলিশের যে সব সদস্য বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছেন, আমার বিশ্বাস আদালত থেকে তারা ন্যায়বিচার পাবেন।বাহারুল আলম বলেন, ঈদের সময়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো অনেকটাই ফাকা হয়ে যায়৷ এই সময়টায় যাতে চুরি ডাকাতিসহ অন্যান্য ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী বিশেষভাবে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত হয়েছে। এছাড়াও ঈদ যাত্রায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছে।এসময় শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিবগাতুল্লা’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (শিল্প পুলিশ) ইসরাইল হাওলাদার ও গাজীপুর শিল্প-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম, সেনাকর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাগণএসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর