কক্সবাজার টেকনাফের সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে পাচার করার সময় বিপুল পরিমাণ চোরাইপণ্যসহ দুটি গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।এসময় পাচার কাজে সহায়তাকারী দুই ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।ধৃত ব্যক্তিরা হচ্ছে-টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত উনচিপ্রাং এলাকার নুরুল কবিরের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৪০), একই এলাকার নুরুল হাসানের পুত্র মোহাম্মদ হোছন (৩৪)। তবে তারা দুজন জব্দকৃত দুটি গাড়ির চালক।৭ মার্চ (শুক্রবার) বিকালের দিকে অভিযানের এই তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।তিনি সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, শুক্রবার সকালের দিকে পুলিশের অভিযানিক দল জানতে পারে কক্সবাজার টু টেকনাফ মহা সড়কের পূর্বপাশে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এলাকার নাফনদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কাঁচা রাস্তা দিয়ে দেশীয় তৈরি বিপুল পরিমাণ চোরাইপণ্যের বড় একটি চালান মিয়ানমারে পাচার করা হবে।উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী পুলিশের একটি অভিযানিক দল ঐ এলাকায় অভিযানে যায়। এক পর্যায়ে নাফনদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সীমান্তের দিকে ব্যাটারি চালিত দুই ইজিবাইক আসতে দেখে দুটি গাড়িতে থামানোর জন্য সংকেত দিলে, পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি থামিয়ে দুইজন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। অবশেষে তাদের ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়।তবে উক্ত অভিযানটি চলাকালীন সময়ে অটো গাড়ি দুইটির পেছনে থাকা তিন জন মোটর সাইকেল আরোহী দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। এরপর ইজিবাইক দুইটি তল্লাশি করে মিয়ানমারে পাচারের জন্য বহন করা ৯৫ কার্টুন বিভিন্ন প্রকারের কোমল পানীয়, ৩৮ কার্টুন বিভিন্ন প্রকারে জুস, ১০ কার্টুন তরল দুধ এবং ৩০ কেজি ওজনের দুই বস্তা মুড়ি উদ্ধার করার পাশাপাশি দুই গাড়ী জব্দ করতে সক্ষম হয়। ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে,তারা দুজন সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য।তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম শেষ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর