নেত্রকোনায় দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার এক অফিসে আদেশে তাদের কর্মস্থলে অন্য দু’জনকে পদায়ন করা হয়েছে। শুক্রবার (০৭ মার্চ) পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশপত্রটির সততা পাওয়া গেছে। অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদকে সদর সার্কেল অফিসে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং পূর্বধলা থানায় নতুন ওসি হিসেবে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ নূরুল আলমকে পদায়ন করা হয়। একইভাবে দুর্গাপুর থানার ওসি বাচ্চু মিয়াকে জেলা পুলিশ অফিসে ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) পদে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং জেলা পুলিশ অফিসার ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) মো. মাহমুদুল হাসানকে দুর্গাপুর থানার ওসি হিসেবে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়াও অফিস আদেশ অনুযায়ী সদর সার্কেল অফিসের রুহুল আমিনকে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ করা হয়েছে। তবে কি কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের শেষ সময়ে হঠাৎ এই রদবদল তার কোন কারণ বা ব্যাখ্যা অফিস আদেশসূত্রে জানা যায়নি। এছাড়াও স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। একই অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখা হয়েছিল সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ নেতা হৃদয় আহমেদকেও। যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছে, পুর্বধলা থানার ওসিও সেচ্ছাচারি হয়ে ওঠেছিলেন কর্মস্থলে তাই এমন পরিবর্তন। এব্যাপারে জানতে দুর্গাপুর থানার ওসি এবং সার্কেল অফিসারের মুঠোফোনে সাংবাদিকরা একাধিকবার কল দিলে তারা কল কেটে দেয়।কিন্তু পুর্বধলা থানায় ওসি হিসেবে সদ্য পদায়নকৃত সাবেক শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ নূরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তিনি শনিবার নতুন কর্মস্থলে যোগ দিবেন। তথ্য দিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর