মেহেরপুরে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠেছেন ৯ জন। একজন নারী ও আটজন পুরুষ এ চাকরিতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বৃহস্পতিবার (২২শে মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ লাইনের অডিটোরিয়ামে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মাকসুদা খানমের সভাপতিত্বে পুলিশের চাকরি পাওয়া ৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ৯ জনের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ৪৭৮ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ১৪৬ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে। লিখিত পরীক্ষায় ২৫ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে চূড়ান্তভাবে মেধায় ৯ জন ও ওয়েটিং লিস্টে ২ জন নির্বাচিত করে মেহেরপুর জেলা পুলিশের টিআরসি নিয়োগ বোর্ড। ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠেন ওই নয়জন। পুলিশে চাকরি পাওয়া সকলে মেহেরপুর সদর , মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বাসিন্দা। মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, আমি ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। আমি কখনো কল্পনায় ভাবতে পারছি না এত সহজে চাকরি হয়ে যাবে। আমি আমার যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি এজন্য আমি গর্বিত। মেহেরপুরের কুতুবপুর গ্রামের মমিনুর ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক খুব কষ্ট করে আমাকে পড়ালেখা করিয়েছে। আজকে আমি মাত্র ১২০ টাকা পুলিশের চাকরি পেয়েছি এটি আমার জন্য খুবই গর্বের আমি আমার যোগ্যতা এখানে আসতে পেরেছি। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে দেশের সেবা করব। মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ফারজানা খাতুন বলেন, আমি দুই দুইবার চেষ্টা করেছি। এবার চাকরিটা আমার হয়েছে সেজন্য আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আমার বাবা মা আমাকে খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছে। আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল পুলিশের চাকরি করা সেই স্বপ্নটি পূরণ হয়েছে আজকে। মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম জানান, শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। কোন টাকা লেনদেনের সুযোগ কেউ পায়নি। শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর