বৈশাখের বিদায়লগ্নে দাপটে রয়েছে তাপমাত্রা। সর্বত্রই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। কখনও তাপদাহের উত্তাপ আর কখনও ঝড়-ব্জ্রপাতের দাপট। বেশ কিছুদিন দেশের আবহাওয়া এমনই যাচ্ছে। প্রায় সময় বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। তাই এই সময় নিরাপদ থাকা উচিত। কেবল ঘরের বাইরে নয় ভেতরের সাধান থাকতে হবে। ঝড় কিংবা বজ্রপাতের সময় কিছু কাজ করলে আপনি ঘরের নিরাপদ নয় এমন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যদি বাথরুমে কিংবা পানির সংস্পর্শে থাকেন। এমনকি রান্না ঘরের পানি দিয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। মেডিকেল নিউজ টুডের এ প্রতিবেদনে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকার বিষয়ে বিভিন্ন সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বজ্রপাতের সময় গোসল: একাধিক গবেষণার পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রঝড়ের সময় গোসল কিংবা পানির সংস্পর্শে কাজ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কারণ বিদ্যুৎচমক কোনো ভবনে আঘাত করলে তা ধাতব পাইপের মাধ্যমে পানির লাইনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে বাড়ির ভিতরে থেকেও ঝুঁকিতে পড়তে পারেন আপনি।অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, বজ্রপাতের সময় গোসল করা নিরাপদ নয়। যদি বিদ্যুৎচমক ভবনে আঘাত হানে, তবে তা ধাতব পানির পাইপ বা ইলেকট্রিক লাইন ধরে গোসলের স্থানে চলে আসতে পারে। প্লাস্টিক পাইপ হলেও ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। শুধু গোসল নয়, বজ্রঝড়ের সময় বাথটাবে থাকা কিংবা হাত ধোয়া, থালা-বাসন ধোয়া—এসব কাজ থেকেও বিরত থাকা উচিত। যেকোনো ধরনের প্লাম্বিং বা পানির লাইনের সংস্পর্শে আসা বিপজ্জনক হতে পারে।পানি ছাড়াও আরও যেসব বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে-বাইরে থাকা: বজ্রঝড়ের সময় ঘরের বাইরে থাকা একেবারেই অনিরাপদ।জানালার পাশে থাকা: জানালা ও দরজার কাছ থেকে দূরে থাকুন, সম্ভব হলে বাড়ির ভিতরের কোনো কক্ষে আশ্রয় নিন।ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার: টিভি, কম্পিউটার বা চার্জে থাকা ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।ল্যান্ডফোন ব্যবহার: তারযুক্ত ফোন ব্যবহার করা বিপজ্জনক, তবে মোবাইল বা কর্ডলেস ফোন নিরাপদ।গাছের নিচে দাঁড়ানো: গাছ বা তার ডালপালা বজ্রাঘাতে ভেঙে পড়তে পারে।কংক্রিট দেয়ালে হেলান দেওয়া: অনেক সময় কংক্রিটের ভিতরে ধাতব তার বা পাইপ থাকে যা বিদ্যুৎ পরিবাহী হতে পারে।জমিনে শোয়া: বিদ্যুৎচমক মাটির উপর দিয়ে ছড়াতে পারে, তাই শোয়া বিপজ্জনক।পানির আশেপাশে থাকা: পুকুর, নদী, সাগর বা সুইমিং পুল থেকে দূরে থাকুন।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর