জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ মোঃ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘন্টা সময় বেধে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল ও রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ শে এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভান তাহসীবসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসব চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পর তিনি এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীদের সাথে উত্তেজিত হয়ে তাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবেন না বলে জানান। একটি অডিও বার্তায় রেজিস্টারের উত্তেজিত অবস্থায় কথা বলতে এবং শিক্ষার্থীদের বের হয়ে যেত্র বলতে শোনা যায়।বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা রেজিস্টার ড. শেখ মোঃ গিয়াস উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে নানা রকম স্লোগান দেয়।সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রের যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোর আনজুম সাম্য বলেন, রেজিস্ট্রার একজন সাম্রাজ্যবাদী কলোনিয়ালিস্ট। আমরা কলোনিয়ালিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। মেরুদণ্ডহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই না। আমরা এরপর অপ্রত্যাশিত কিছু হলে, তার জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও জবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আবাসন সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা এ ইস্যুতে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য পাচ্ছি না। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিয়ে রেজিস্ট্রার যে ধরনের আচরণ করেছে তা একেবারে কাম্য নয়। এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, রেজিস্ট্রারকে সকলের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এ বক্তব্যের জন্য। তিনি যা করেছেন তা স্পষ্ট ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আমরা তাকে ক্লাসরুমে ফিরে যেতে আহ্বান করছি।শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে, কারণ সব জায়গায় অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন একাডেমিক ব্যক্তিকে কেন রেজিস্ট্রারের জায়গায় বসানো হয়েছে? সেই উত্তর দিতে হবে। ক্ষমতা যদি আপনার হাতিয়ার হয়, তাহলে ছাত্ররা ইতিহাসের আশ্রয় নেবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে হবে। অব্যাহতি দেওয়া না হলে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর