নেত্রকোনা কেন্দুয়ার সাবেক পৌর মেয়র ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূঁইয়া। একই সাথে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুলকেও আটক করে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তাদের দুজনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাদেরকে নেত্রকোনা জেলা পৌরসভাধীন মদন বাসস্ট্যান্ড এলাকা আটক করে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) উপ পরিদর্শক মো. ইকবাল হোসেন ও তার সঙ্গে থাকা ডিবি সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নজরদারী করে তাদের আটক করে।গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) উপ পরিদর্শক মো. ইকবাল হোসেন জানান, গত ৫ আগস্টে অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভীতি-সন্ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে সিএনজি ও গাড়ী ভাঙচুরসহ অগ্নি সংযোগ করে অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা ঘটানো এবং যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে দুজনকে আটকের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলাটি দায়ের করেছিলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের অরঙ্গবাদ (বড় কাইলাটী) গ্রামের মৃত রজমান আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ (৫৬)।মো. ইকবাল হোসেন আরও জানান, “গোপনীয় তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দুয়ার সাবেক পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়া এবং একই উপজেলার আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাদেরকে ৫ আগস্টে সংগঠিত একটি বিস্ফোরক মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এদিকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির এক নেতা ও দুজন আইনজীবী জানান, ঘটনা কেন্দুয়ার। আসামীরাও কেন্দুয়ার কিন্তু মামলার বাদী নেত্রকোনা সদরের। এই বিষয়টি একেবারেই হাস্যকর এবং মামলাটি সাহানো সহজেই বোঝা যায়। কোন বাণিজ্য বা লেনদেনেরও বিষয় হয়ে থাকতে পারে। যারা মামলা করেছেন বা মামলাটি গ্রহন করেছেন তারাও সতর্ক থাকলে ওই এলাকার কাউকে বাদী করতে পারতেন। মামলাটি কেন্দুয়া থানার হলেও গ্রহণযোগ্যতা থাকতো। এখন এই মামলায় কার কার লাভ হলো সেটাই ক্ষতিয়ে দেখবার বিষয়। এভাবে মামলা বাণিজ্য বন্ধ না হলে আওয়ামীলীগের অন্যায়ের সঠিক বিচার করাও বৃথা যেতে পারে। এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর