ঢাকার বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিতাস থানার সহযোগিতায় উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হৃদয় মিয়াজী তার মামা হারুন উর রশিদের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিতাস থানা পুলিশ তাকে র্যাব-১১ এর কাছে হস্তান্তর করে।হৃদয় মিয়াজী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দূরলব্দী গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। তিনি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, ঢাকায় পারভেজ হত্যা মামলার আসামি হৃদয় মিয়াজীকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের সঙ্গে সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে তার মামার বাড়ি থেকে আটক করে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে পারভেজের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর পারভেজকে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক ঘিরে ধরে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পরদিন, নিহত পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর