নীলফামারীর ডোমারে ফজরের নামাজ শেষে কোরআন তিলাওয়াতের সময় মসজিদে মো. সাজু ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে ডোমার উপজেলার জামিরবাড়ী পাটোয়ারী পাড়া জামে মসজিদে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাজু ইসলাম ওই এলাকার মমিনুর রহমানের তৃতীয় ছেলে। তিনি ডোমার ফার্মহাটে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান করতেন।মসজিদের ইমাম ও স্থানীয়রা জানান, ‘ফজরের নামাজের পর অন্যান্য সময়ের মতোই সাজু মসজিদের ভেতরে বসে কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। হঠাৎ সে পড়ে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি মারা গেছেন। এঘনায় আমরা সবাই হতবাক হয়ে যাই।’পাটোয়ারী পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রাকিব জানান, সাজু ছিলো এলাকার মধ্যে সব থেকে ভদ্র, নম্র এবং প্রকৃত অর্থেই একজন আল্লাহভীরু তরুণ। এমন একটি পরিপূর্ণ আমলী জীবন এবং মসজিদের ভেতর মৃত্যু এটি নিশ্চয়ই তার সৌভাগ্য। এমন মৃত্যু আল্লাহ যাকে দেন, তিনি অবশ্যই আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা।প্রতিবেশী শাকিল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সাজুর মতো ছেলে আর একটাও নেই। ভদ্রতার শীর্ষে ছিলো সে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তো ছিলোই, পাশাপাশি তাহাজ্জুদের নামাজও নিয়মিত আদায় করতো। তার জীবনের লক্ষ্য ছিল মসজিদ কেন্দ্রিক। অল্প সময়ের জীবনে যতটুকু সাধ্য তার সবটাই আল্লাহর পথে ব্যয় করেছে সে। মসজিদের বাইরে সে ছোট পরিসরে ফার্মহাটে একটি ব্যবসাও করতো। তাকে নিয়ে ভালো গুণের তালিকা বলতে গেলে শেষ করা যাবে না।’মঙ্গলবার বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে ডোমার উপজেলার জামিরবাড়ী পাটোয়ারী পাড়ার নিজ এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় শত শত মানুষ-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু আর শুভাকাঙ্ক্ষী। সবার চোখে ছিল অশ্রু, কণ্ঠে দোয়া আর মনে গভীর শোক। পরবর্তীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে তিনি জানান।’সাজুর এভাবে মৃত্যু এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার মৃত্যুকে ‘সৌভাগ্যের মৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করছেন অনেকে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর