নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার গাউছে হক দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন দরবার শরীফের আখাউড়া উপজেলার ভক্তবৃন্দ। এতে দরবার শরীফের ভক্ত-মুরিদানসহ কয়েক শতাধিক মানুষ অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তারা গাউছে হক দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, এ হামলা শুধু একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নয়, এটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও সহনশীলতার ওপর আঘাত। বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দরবার শরীফ পুনঃনির্মাণ এবং দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দরবারের ভক্ত ও বিএনপি নেতা আবুল ফারুক বকুল, কলেজপাড়া আজগর আলী জামে মসজিদের খতীব ক্বারী মাওলানা মোজাম্মেল হক মুছা, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান সানি, রেলস্টেশন জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুফতি রেদুয়ান রেজা, মাওলানা মাসুদ মোল্লা মুজাহিদী, দরবারের ভক্ত ও সমাজসেবক শাহাবউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গাউছে হক দরবার শরীফ ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী আধ্যাত্মিকতা চর্চার পাশাপাশি ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান ও বার্ষিক ওরস মাহফিল পালন করে আসছে। এখানে কোনো মাজার নেই। তাই এ ধরনের বর্বর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।বক্তারা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার ও খানকা শরীফে হামলার ঘটনা বাড়ছে, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব হামলার বিরুদ্ধে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তারা।উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ রাতে দুর্বৃত্তরা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার গাউছে হক দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর