কুমিল্লা নগরীতে ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশের বিশেষ অভিযানে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কোতোয়ালী থানা এলাকার মৃত আলী আশরাফের ছেলে মো. আরিফ, মোগলটুলি এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান আদি, কোতয়ালি থানা এলাকার কালির বাজার ইউনিয়নের রায়চৌ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. কবির হোসেন, ছোটরা এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে একেএম মনিরুজ্জামান ভূইয়া কিশোর, বরুডা থানার জলম গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম, বুড়িচং উপজেলার বানতির গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে জাহিদুল হাসান রিমন, দেবিদ্বার উপজেলার চাপানগর গ্রামের বলাই সাহার ছেলে পিয়েল চন্দ্র সাহা, কোতয়ালী থানা এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তৈলকুপি গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে ডাক্তার মোস্তফা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের পর থেকে কুমিল্লায় এটি ছিল দলটির প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি। মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।ভিডিওতে দেখা যায়, মধ্যরাতে একদল লোক শাসনগাছা এলাকায় স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মিছিলকারীরা “শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই”, “শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার”, “শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে”— এমন নানা স্লোগান দেন।ঘটনার পর কুমিল্লা জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মিছিলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা বলেন, “দলীয় নির্দেশ ছিল মিছিলে যেন পরিচিত কেউ না থাকে। তাই মহানগরে ওয়ার্ড পর্যায়ের অপেক্ষাকৃত অপরিচিত কর্মীদের দিয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।”কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রবিবার মধ্যরাতে তারা নগরীর শাসনগাছায় এলাকায় মিছিল করেছে। এসময় তারা নাশকতার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ লাইনে এবং আলেখারচর এলাকায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে। তাদেরকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর