ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মিসরের কপটিক অর্থডক্স খ্রিস্টান চার্চের প্রধান পোপ টাওয়াড্রোস দ্বিতীয়।তিনি এটিকে “ফিলিস্তিনিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ অন্যায়ের একটি উদাহরণ” বলেও উল্লেখ করেছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।খ্রিস্টানদের পবিত্র ইস্টার উৎসব উপলক্ষ্যে মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ বলেছেন, “প্রতিদিন ফিলিস্তিনিরা নিজেদের মাতৃভূমির ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে চরম অবিচারের শিকার হচ্ছেন।”তিনি বলেন, মিসরের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা একত্রে গাজা থেকে জোরপূর্বক বা স্বেচ্ছায় ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পোপ বলেন, “প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি স্পষ্টভাবে বলেছেন—এই অন্যায়ের অংশ আমরা কখনও হবো না।”পোপ টাওয়াড্রোস বলেন, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কপটিক চার্চ এবং মিসরের প্রধান ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আল-আজহার একই অবস্থানে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, “আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব এবং আমরা একসঙ্গে একই কণ্ঠে বলছি—বিশ্ব বিবেককে এখনই জাগতে হবে, আমাদের গাজার ভাইবোনদের রক্ষা করতে হবে।”প্রসঙ্গত, গত মাসে এক জরুরি আরব সম্মেলনে মিসরের নেতৃত্বে গাজার পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পাঁচ-বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গৃহীত হয়, যার মূল শর্ত ছিল—ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরানো যাবে না।কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বিতর্কিত পরিকল্পনার পক্ষে অবস্থান নেয়, যেখানে গাজার জনগণকে মিসর ও জর্ডানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।তবে এই প্রস্তাব আরব দেশসমূহ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর