কক্সবাজারের টেকনাফে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে মো. নজিমুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, সাদেক নামে চিহ্নিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কে কে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজিমুল্লাহ ওই এলাকার মৃত রহিম উল্লার পুত্র। আর অভিযুক্ত হলেন- একই এলাকায় ভাড়াবাসায় বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিক মুহিব উল্লাহপুত্র সন্ত্রাসী সাদেক হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরি করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করার পাশাপাশি উক্ত অপরাধে জড়িত খুনীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, নিহত নজিমুল্লাহ এক সময় পেটের দায়ে চুরি করতো। বেশ কয়েকবার বিচার করে সমাধান করেছি। মাঝখানে চুরি বন্ধ করে তাবলীগ গিয়ে ভালো হয়ে গিয়েছিল। তবে সে পুনরায় যদি চুরি করে থাকে, তবুও তাকে এভাবে হত্যা করা উচিত হয়নি। অনতিবিলম্বে উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের ভাড়া বাসা না দেওয়ায় জন্য আমাদের ওয়ার্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশ কয়েকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। অথচ অনেকেই সেই নির্দেশ অমান্য করে রোহিঙ্গাদের বাসা ভাড়া দিয়ে নিজের ফায়দা হাসিল করছে। রোহিঙ্গাদের যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই সমস্ত অর্থলোভীদের আইনের আনার জন্য জোর দাবি জানান সাবেক এই কাউন্সিলর।এইচএ/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর