মাদারীপুরের শিবচরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হাতে বাড়ি ভাঙচুর ও উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন মো. সাইদ সিকদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। বর্তমানে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ডিগ্রীর চর এলাকায় এই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ডিগ্রীর চর গ্রামে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাইদের বসতঘর গুঁড়িয়ে দেন তার চাচাতো ভাই ও ভাতিজারা। ভাই-ভাতিজারা বাড়িঘর উচ্ছেদ করে নিজেরাই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সাইদ সিকদারের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের তদন্ত শেষে সাইদ সিকদারের পক্ষে রায় এলেও পুনরায় ঘর নির্মাণ করতে পারছেন না সাইদ সিকদার। এ সময় প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী।বিষয়টি জানাজানি হলে (১৭ এপ্রিল) শিবচর থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন সাইদ। অভিযুক্তরা হলেন—মিজান সিকদার, সাকিব সিকদার, সাব্বির সিকদার, নাজমা বেগম।ভুক্তভোগী সাইদ সিকদার বলেন, “আমি অসুস্থ, সারা শরীরই অপারেশন করা। তার ওপর এমন দুর্বৃত্তপনা! এখন স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ২ দিন পর এখানেও থাকতে পারবো না। ওরা হুমকি দিচ্ছে, থানায় গেলে মেরে ফেলা হবে।”তার মেয়ে সুমি আক্তার বলেন, “আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। প্রতিনিয়ত হুমকি পাচ্ছি, বাবাকে ও আমাকে মেরে ফেলবে।”সাইদের স্ত্রী সখিনা বেগম জানান, “ঘর ভাঙার পর এলাকার এক সাবেক মেম্বারের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। তিনি কখনো বলছেন ঘর করে দেবেন, আবার কখনো বলছেন পারবেন না। আমরা গরীব, আইনের আশ্রয় ছাড়া উপায় দেখছি না।”নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, সাইদ সিকদারের বাবা মিজান সিকদারের বাবার কাছে অনেক জমিই বিক্রি করে দিয়েছেন। তার জের ধরেই হয়তো উচ্ছেদ করেছে। তবে আর যাইহোক, পরিমাণে কম হলেও সাইদ সিকদার কিছু অংশ জমি পাবেন। তাকে একেবারে উচ্ছেদ করা ঠিক হয়নি। এদিকে অভিযুক্ত মিজান সিকদারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর