বরগুনার তালতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়কে নিম্নমানের ইট সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ কয়ে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে সময়ের কন্ঠস্বরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে তড়িঘড়ি করে নিজের দায় এড়াতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নোটিশ দেয় উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন। আজকের এ কাজ পরিদর্শনে আসেন বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম।শুক্রবার(১৮ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় সরেজমিনে কাজের মান পরির্দশনে আসেন বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলামসহ একটি টিম। এর আগে গতকাল রাতেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নোটিশ দেয় উপজেলা প্রকৌশলী।উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত ১১০০ মিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, নির্বাহী প্রকৌশলী। দরপত্রে অংশগ্রহন করে কাজটি পেয়েছে মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানকে ওই কাজের কার্যাদেশ ওই রাস্তার কাজে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।জানা গেছে, মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া সড়কের নির্মাণকাজ চলছিলো এলজিইডি’র আওতায়। এ কাজের তদারকি’র দায়িত্ব উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর। তবে সড়ক নির্মাণ কাজটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে কাজ করে আসছে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্মমানের কাজ বন্ধের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন নিজের দায় এড়াতে গতকাল রাতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের ইট সামগ্রী আগামী তিন দিনের ভেতরে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে ঝাড়ু মিছিলের নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলামসহ একটি টিম। এসময় তিনি নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন ও ইট পরিক্ষা করার জন্য নিয়ে যায়। একই সাথে কাজের বিষয়ে এলাকাবাসির সাথেও কথা বলেন। পরবর্তীতে ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজের আশ্বাস দেন।এবিষয়ে এনামুল এন্টারপ্রাইজের মালিক এনামুল বলেন, আমি এখনো কোনো নোটিশ পাইনি। তবে জেলা থেকে পরির্দশনে এসে নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাই তাদের সম্মানে এগুলো সড়িয়ে নিতেছি।উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট সামগ্রী সড়িয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি। তিনি এখনো পায়নি তা আমি জানি না। তবে এখানে দায় এড়ানোর বিষয় না। এ বিষয়ে সামনাসামনি আসেন কথা বলি।পরির্দশনে আসা বরগুনা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি নয়।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর