যৌথবাহিনীর চেকপোস্টে থামতে বলার পরও মোটরসাইকেল না থামিয়ে চলে যাওয়ার মুহূর্তে এক মাদকসেবীকে আটক করা হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) জেলার দেবীগঞ্জ পৌরশহরের করতোয়া সেতু সংলগ্ন চেকপোস্টে এই ঘটনা ঘটে।আটককৃত ব্যক্তি সোহাগ হোসেন দেবীডুবা ইউনিয়নের পেড়ালবাড়ি মিস্ত্রিপাড়া এলাকার রইচ উদ্দীনের ছেলে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে বিচারক তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।দেবীগঞ্জ থানার এসআই রবিউল ইসলাম জানান, গতকাল চেকপোস্টে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাত ৯টার দিকে সোহাগ মোটরসাইকেলে করে দেবীগঞ্জ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। চেকপোস্টে পৌঁছানোর পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে থামতে সিগন্যাল দেন। তবে সে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সামনে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। এই সময় তার শরীর তল্লাশী করে মাদক সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যাওয়ায় আটক করা হয়। পরে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো সাতদিনের কারাদণ্ডের সাজা প্রদান করেন।স্থানীয়দের ভাষ্য, সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তবে পরিবারের চাচাতো ও জেঠাতো ভাইরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় সেই সুযোগকে পুঁজি করে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল মাদক ব্যবসা। যার ফলে পেড়ালবাড়ি, সমিতির ডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে মাদক সহজলভ্য করে তুলেছিল সোহাগ।এইদিকে একই দিনে পুলিশের অভিযানে আরো তিনজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী গ্রেফতার হয়। এর মধ্যে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের পূর্ব ভাউলাগঞ্জ এলাকার সালমান আহম্মেদকে ৮ পিস ইয়াবা, খুটামারা কামাতপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জনকে ৬ পিস টাপেন্ডাটল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। এদের দুইজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে সোনাহার ইউনিয়নের মল্লিকাদহ চাঙরাবান্দা এলাকায় যেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা ও মাদক কেনা-বেচা হয় সেখান থেকে মানিককে গ্রেফতার করা হয়।দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর