বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর এর ফলে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং এটি সুস্থ রাখতে কিছু বিশেষ খাবার খুবই কার্যকর। এই খাবারগুলো নিউরোনের সুরক্ষা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, মনোযোগ বাড়ানো, এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার: বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার ভিটামিন ই-এর ভাল উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই মস্তিষ্কের দক্ষতা হ্রাস পাওয়া কমায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে দিনে এক আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) বাদাম যেমন- আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ খেতে পারেন।মটরশুঁটি : মটরশুঁটি রক্তে চিনির মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখে। গ্লুকোজ হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি। যদিও মস্তিস্ক গ্লুকোজ সংরক্ষণ করতে পারে না, এটি শক্তির ক্রমাগত প্রবাহের উপর নির্ভর করে এবং মটরশুঁটি এটি দিতে পারে।চা: ঠান্ডা অথবা গরম সদ্য তৈরি করা চায়ে পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে, যা মস্তিস্কের শক্তি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও চায়ে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্ত প্রবাহের উন্নতিতে সাহায্য করে।ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং ক্যাফেইনসহ প্রচুর প্রাকৃতিক উদ্দীপক থাকে, যা মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং অ্যান্ডোরফিনের উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে, যা মেজাজের উন্নতিতে সাহায্য করে।তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ খাওয়া মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। স্যামন, সার্ডিন, টুনা, ম্যাকারেল প্রভৃতি মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত।অ্যাভোকাডো: মস্তিষ্কের উন্নতিতে সাহায্য করে এটি। অ্যাভোকাডো একটি ফ্যাটি ফল, কিন্তু এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহে সাহায্য করে।গোটা শস্য: ওটসমিল, পাউরুটি, বাদামি চালের মতো গোটা শস্যদানা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এরই সঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও রক্ষা করে।ডালিম: ডালিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের আক্রমণ থেকে মস্তিস্ককে রক্ষা করতে পারে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর