চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং মোড়ে সংঘটিত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পর ৫১ দিন ধরে পলাতক থাকা ছিনতাইচক্রের মূল হোতা অবশেষে ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডবলমুরিং থানা পুলিশের একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে। পুলিশের ভাষ্যমতে, এ অপরাধী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া, ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে আসছিল।গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ৫০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এসব অস্ত্র সে ব্যবহার করত ছিনতাই ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং সে একজন পেশাদার অপরাধী।প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ডবলমুরিং থানার অধীনস্থ বারেক বিল্ডিং মোড়ের এক নির্জন ফাঁকা প্লটে পুলিশের একটি টহল দল অভিযান চালায়। সেসময় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা পুলিশের দলটিকে ঘিরে ফেলে।সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চক্রনেতা আরিফ হোসেন পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ছুরি দিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বর-কে জানান, “ফেব্রুয়ারির হামলার পর থেকেই আমরা আরিফকে ধরার জন্য গোপনে নজরদারি চালিয়ে আসছিলাম। অবশেষে আজ ভোরে আমাদের সফল অভিযান তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। তার কাছ থেকে যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা ব্যবহার করে সে নানা অপরাধে জড়িত ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।”তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকি সদস্যদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই পুরো চক্রটি ধরা পড়বে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর