কাশিমপুরে ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের আড়ালে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা! এমন শিরোনামে গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) সময়ের কণ্ঠস্বর অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া নিউজ প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের জিরানি বাজার এলাকায় ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম (উত্তর) রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের ভিতর থেকে ৫ জন খদ্দের ও ৬ জন নারী যৌনকর্মীসহ গেস্ট হাউসের মালিকের ছোট ভাই এবং দুইজন স্টাফসহ মোট ১৪ জনকে আটক করে পুলিশ।এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম (উত্তর) রবিউল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের নিউজের মাধ্যমে আমাদের সামনে সত্যটাকে তুলে ধরার জন্য। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, নিউজ এর বিষয়টি আমার নজরে আসার পর আজকে জিরানি বাজার এলাকায় ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের জিরানি বাজার এলাকায় ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজে রুম ভাড়ার পাশাপাশি নারী যৌনকর্মী দিয়ে দেহব্যবসা করছেন কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল পরিবর্তন করে প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করেই চলছে এই ব্যবসা। দেহব্যবসার বিষয়টি ইতিপূর্বে কখনোই স্বীকার করেননি কর্তৃপক্ষ। তবে এবার ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের ম্যানেজার আশরাফ আলী দেহব্যবসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের মালিক ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা গাজী মনির বলেন, আমার কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ না, আমি আজকে থেকে হোটেল ব্যবসা করিনা। আমি কোনাবাড়িতে অতিথি চালিয়েছি, চান্দরা নিউ অতিথি, চাঁদপুর বডিং আমার ছিলো। ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউস আমারই, কোন সাংবাদিক আমার কাছ থেকে টাকা ছাড়া ফিরে গেছে এমন লোক কমই আছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান থেকে গত মাসে ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা বিভিন্ন জনকে দেওয়া হয়েছে। বিল্ডিংয়ের ভাড়া ছাড়াই আর এর জন্যই নিজেই বসে থেকে দেখাশোনা করি।গত বুধবার (০৯এপ্রিল) সারাদিনব্যাপী ও রাত দশটা পর্যন্ত ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজে ২৯ জোড়া যুবক-যুবতী ও কিশোর কিশোরীসহ নারীর যৌনকর্মীরা প্রবেশ করে। তাদের সবাইকে রুমভাড়া দেয় গেস্ট হাউসটির মালিক গাজী মনির ও ম্যানেজার আশরাফ আলী।এছাড়াও শুধুমাত্র রুম ভাড়া দেওয়া হলে নেওয়া হয় ১ হাজার ২০০ টাকা।পাশাপাশি রুমের সাথে যদি নারী যৌনকর্মী দেওয়া হয় তাহলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে জানান ড্রিমলান্ড গেস্ট হাউজের ম্যানেজার আশরাফ আলী।আর এভাবেই রুমভাড়ার মাধ্যমে এলাকার এবং বহিরাগত যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীদের অবৈধ মেলামেশায় সহায়তা করছে ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজটির কর্তৃপক্ষ।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের ১নং ওয়ার্ডের জিরানি বাজার এলাকায় ড্রিমল্যান্ড আবাসিক হোটেলে,রুম ভাড়ার পাশাপাশি নারী যৌনকর্মী দিয়ে গোপনে অসামাজিক কার্যকলাপ জনিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা।এছাড়াও গেস্ট হাউসে নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ীরা রুম ভাড়া ও নারী যৌনকর্মীদের ভাড়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন মালিক পক্ষ ক্ষমতার বীর দাপটেই।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর