পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে কৃষকের বোরো ক্ষেতের পাকা ধান কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক সোরহাব হোসেন। জানাগেছে, ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের জামতলী গ্রামের কৃষক সোরহাব হোসেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দশ কাঠা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে। এর আগে এই জমিতে বর্গা চাষ করতো একই এলাকার আনোয়ার হোসেন তলু মিয়া। লোকজনের সামনে বর্গা চাষী ডাকায় ক্ষিপ্ত হয় তলু মিয়া। এক পযার্য়ে ঝগড়া বাধে তাদের দুইজনের মধ্যে। তলু মিয়া জমিতে চাষ করবেনা এই বলে জানিয়ে দেয়। তার পর উক্ত জমিতে চারা রোপণের খবচ হিসেবে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। কৃষক সোহরাব সাথে সাথেই বারো হাজার টাকা তাকে বুঝিয়ে দেন। এর পর তলু মিয়া বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত শুরু করেন। জমিতে চারা রোপনের পর কোন ধরনের সেচ দিতে দেয়নি। জমিতে কোনভাবেই যেন সেচ দিতে না পারে সেজন্য সকল কল মালিককে নিষেধ করেন। কেউ তার ভয়ে ফসলের জমিতে সেচের পানি দেননি। যার ফলে চলতি মৌসুমে কৃষক সোহরাব হোসেনের ক্ষেতের বোরো ফসল একেবারে সীমিত হয়েছে। এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক সোহরাব হোসেন। বর্তমানে কৃষক সোহরাব হোসেনের জমির ধান মাড়াই এর উপযোগী মূহুর্তে ধানের ফসল কেটে নেওয়ার হুমকি এবং বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রের ভয় ভীতি প্রদর্শন করছেন তলু মিয়া। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন তলু মিয়া বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। এইসব ঘটনা মিথ্যা।কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, আমি তাকে বর্গা চাষী বলাই সে ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে জমিতে চাষ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে খরচের ১২ হাজার টাকা দাবি করে। আমি তার দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করি। জমির রোপণ করা ধান গাছ মরে যায়। মরা গাছগুলোতেই কিছু ধান হয়েছে। ওই পাকা ধান গুলো কেটে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবারের সদস্যরা তার হুমকি-ধমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষক সোহরাব হোসেনের বড় ছেলে সাইদুল ইসলাম ত্রিশাল থানার একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। গতকাল বিকালে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহম্মদ জানান এই ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর