‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। আজ পহেলা বৈশাখ, বাঙ্গালিদের দিন। বিগত বছরের মলিনতা মুছে দিয়ে নতুন আলোয় স্নাত বাঙ্গালি জাতি আজ প্রবেশ করছে নতুন বর্ষে। আজ ১৪৩২ বাংলা সালের প্রথম দিন। ১৪৩১ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হলো নতুন বছর।জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যম ও সম্ভাবনার নতুন বছরে পা রাখলো বাঙালি জাতি। সব গ্লানি ঝেড়ে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় নতুন বছরকে বরণ করে নেবে সবাই।নতুন বছর মানেই রঙিন হয়ে ওঠার হাতছানি, নতুন আশায় পথচলা। তাই পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসবের কাতারে শামিল হয় সকল স্তরের মানুষ। তাই এমন সুন্দর আয়োজন থেকে যেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা বাদ না পড়ে তাই নববর্ষ উপলক্ষে বরিশালের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সরকারী-বেসরকারি চাকরজীবি কিছু বন্ধুদের গড়ে তোলা ইভেন্ট-৮৪ এবারও ব্যতিক্রমধর্মী আনন্দময় আয়োজন করলো বরিশালে।বরিশালে তরঙ্গ ও এসএনডিসি’র পাঠাশালায় নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্কে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা বৈশাখ উৎসবে মেতে উঠেছিল। বাংলা ভাষা, বাঙালির ঐতিহ্য, রীতি এসব উপলব্ধি করেছে। এমন আনন্দময় মুহূর্ত আরও আনন্দময় হয়েছিল বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে।জেলা প্রশাসকের হাত থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা নতুন দিনে নতুন পোশাক ও খাবার পেয়ে উচ্ছ্বসিত তারা। বৈশাখের এই সকালে নাস্তা হাতে তাদের হাসিমুখ আনন্দে ভিন্ন মাত্রা এনেছে তাদের মাঝে।এসময় বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসব থেকে যেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা বঞ্চিত না হয় তাই ইভেন্ট-৮৪ ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সত্যি একটি প্রশংসনীয়। তাই তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।তিনি আরো বলেন, আশাকরি সামনের উৎসবের দিন গুলোতেও তারা এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করবেন। আমি সব সময় এই ভালো কাজে পাশে থেকে তাদের সার্বিক সহযোগীতা করবো। সামনের দিন গুলোতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে নিয়েই পহেলা বৈশাখ পালন হবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর