ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় রবিবার (১৩ এপ্রিল) আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছয় ভাই ছিলেন, যারা দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বেচ্ছায় খাবার সরবরাহ করছিলেন। রাতভর হামলায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১১১ জন। আহতদের গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৯৫০ জনে পৌঁছে গেছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৫৬ জনে পৌঁছেছে। তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ থাকায় তাদেরও মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ১১৫ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার পর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর অপরাধ’ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনসহ সব আন্তর্জাতিক নীতিমালার ‘ঘোরতর লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ইসরায়েলি বাহিনীর ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা থামাতে উদ্যোগ নেয়। এ ধরনের বারবার হামলায় গাজার স্বাস্থ্যখাত মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছে সৌদি।আল-আহলি হাসপাতাল পরিচালনাকারী জেরুজালেমের এপিস্কোপাল ডায়োসিস জানিয়েছে, পাম সানডে তথা খ্রিস্টানদের সবচেয়ে পবিত্র সপ্তাহের শুরুতে এই হামলা হয়েছে।মিশর, জার্মানি, জর্ডান, কাতার, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর