বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। উচ্ছ্বাসে ভরা বর্ণিল এই শোভাযাত্রা ছিল উৎসবমুখর। এবার এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি আয়োজিত হয়েছে নতুন নামে।আগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার এটিকে বলা হচ্ছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকাল ৯টার কিছু পর চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ দেখা গেছে। এছাড়া চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। এতে শহিদ মুগ্ধের পানি বিতরণের স্মৃতি হিসেবে পানির বোতল দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘পানি লাগবে, পানি’।এছাড়া নতুন বছরকে বরণ করে নিতে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন সাজে সাজতে দেখা গেছে। শোভাযাত্রায় মানুষ বিভিন্ন রঙ নেরঙের মোটিফ নিয়ে আসেন।পরে চারুকলা থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে ফিরে আসে।এবারের আনন্দ শোভাযাত্রায় সুলতানি ও মুঘল আমলের ঐতিহ্য লালন করে মিছিলের সম্মুখভাগে থাকছে পুলিশের সুসজ্জিত ১৮টি ঘোড়া। পরেই ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর ৪৬৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এছাড়া মিছিলে আরও থাকছে, চারুকলা অনুষদের দল।পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল থাকবে। এপর বান্দরবানের কিশোর ব্যান্ডদলের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম। থাকবে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট বামমা ব্যান্ডসংগীত শিল্পী-গোষ্ঠী। ৫০ সদস্য বিশিষ্ট বাউল সাধুর দল; ১০০ সদস্য বিশিষ্ট কৃষকদল ও মূলধারার শিল্পী-গোষ্ঠী, সাধনা নৃত্য সংগঠনের ১০০ সদস্যের দল; রংধনু পোশাকশ্রমিক শিল্পী সংগঠনের ৫০ জনের দল।এরপর ২০ সদস্য বিশিষ্ট নারী ফুটবলারের একটি প্রতিনিধি দল, অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল থাকছে। এরপরেই মিছিলে থাকবে ২০টি রিকশা নিয়ে রিকশা র্যালি; পাঁচটি ঘোড়ার গাড়ির বহর। মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ছোটবড় ৫০০টি মোটিফ।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর