সৌদি আরবে অভিযান চলাকালে অভিবাসন ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার ২৫ হাজার ৭৫৪ জনকে নিজ নিজ দেশের কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় ভ্রমণ কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য। অন্যদিকে, আরও দুই হাজার ২৭৯ জনকে উৎস দেশে ভ্রমণের প্রস্তুতির জন্য প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে এবং ৮ হাজার ১২৬ জনকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে, সৌদি আরবে সপ্তাহব্যাপী অভিযানে বাসস্থান, শ্রম এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৮ হাজার ৬৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এমনটি জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই জাতীয় পর্যায়ের অভিযান ২০২৫ সালের হজ মৌসুমের আগে সীমান্ত ও শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সৌদি আরবের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। খবর গালফ নিউজের। ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত যৌথভাবে পরিচালিত এই অভিযানে দেশটির একাধিক সরকারি সংস্থা অংশ নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ হাজার ৮১৩ জন বাসস্থান আইনের, ৪ হাজার ৩৬৬ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইনের এবং ২ হাজার ৪৯০ জন শ্রম আইনের ধারা লঙ্ঘন করেছেন।গ্রেপ্তারদের মধ্যে এক হাজার ৪৯৭ জন সৌদি আরবে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ধরা পড়েন। তাদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ছিলেন ইথিওপিয়ার, ২৭ শতাংশ ইয়েমেনের এবং বাকি ৪ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া, অবৈধভাবে সৌদি আরব ছাড়ার চেষ্টা করার সময় আরও ৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের পরিবহন, আশ্রয় বা কাজের সুযোগ দেয়ার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে যে, কেউ যদি অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তা করে—যেমন পরিবহন, আবাসন বা যেকোনো রকম সাহায্য প্রদান করে—তাহলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, এক মিলিয়ন সৌদি রিয়াল (প্রায় ২ লাখ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা এবং সংশ্লিষ্ট যানবাহন বা সম্পত্তি জব্দের মুখোমুখি হতে পারে।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর