নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির নেতার ডাকা সালিশে যাওয়ার জেরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাদের হামলায় শফিকুল ইসলাম ও রহেদ আলী নামে দুইজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে।শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের মানিকদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানায়, মানিকদিঘী গ্রামের পাকুরিয়া ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামসুল সরকারকে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারধর করে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও কর্মীরা। পরে সমাধানের লক্ষে বিএনপির নেতা ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম এর ডাকা সালিশে যাওয়ার কারনে দুপুর পর বিকেল ৩টার দিকে বিএনপি নেতা সামসুলের সমর্থক ও বিএনপির কর্মী শফিকুল ও রহেদ এর বাড়িতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে হামলা চালায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক।ভুক্তভোগী শফিকুল ও রহেদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা দুলাল ও ছাত্রলীগের নেতা জাহাঙ্গীর জামতলি বাজারে এক বিষয় নিয়ে বিএনপি নেতা শামসুলের সাথে কথা কাটাকাটি ও তাদের মধ্যে ঝামেলা হয় বিএনপির নেতা শামসুল কে জামতলি বাজারে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে মারধর করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শামসুলের ডাকা সালিশে আমরা পাকুরিয়া বাজারে যাই তার পক্ষে এরই জের ধরে দুলাল ও জাহাঙ্গীরের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। শফিকুলের স্ত্রী রশিদা বেগম(৩৫) বলেন, আমার স্বামীকে বাড়িতে না পেয়ে আমাকে মারধর করে বাড়ির সব জিনিস পত্র ভাংচুর ও গরু বিক্রি করার নগদ ১লক্ষ টাকা নিয়ে যায় তারা।রহেদ বলেন, আমাদের গ্রামের বিএনপির নেতা শামসুলের সালিশে আমরা পাকুরিয়া ছিলাম আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার মা ও সহধর্মিণীকে মারধর করে জিনিসপত্র ভাংচুর লুটপাট করে নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।এ ঘটনার পর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গী আলম অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এই ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে জানা নেই বলে দাবি করেন তারা।সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, বিষয়টি ফোন কলে জানতে পেরেছি এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর