কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার শম্ভুপুর পাক্কার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির মা বিষয়টি টের পেয়ে রাত দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করেন। ওই চিকিৎসক পরে ভৈরব থানা পুলিশকে খবর দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে। থানা পুলিশ রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক কাজী রিপন সরকার।এ বিষয়ে শিশুটির মা জানান, তিনি পাক্কার মাথা এলাকার একটি রাবার ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন। তার পরিবারে ২ বছর ও ৫ বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্বামীর সাথে সমস্যার কারণে পাক্কার মাথা এলাকায় ২ মেয়ে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। প্রতিদিনকার মতো সকাল ৭টায় রাবার ফ্যাক্টরীতে গেলে সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি ফিরেন। যদিও মেয়ে দুটি ফ্যাক্টরীতে মায়ের কাছেই থাকে। সন্ধ্যায় কোন এক সময় কে বা কারা ৫ বছরের শিশুটিকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে পাক্কার মাথা এলাকার পাশে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি ঘরে ফিরে চিৎকার করলেও মা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেনি। রাতে শিশুটির চিৎকার ও রক্তক্ষরণ দেখে বুঝতে পারে শিশুটি ধর্ষণ হয়েছে। শিশুটি ধর্ষণের কথাটি মাকে বুঝাতে পারলেও কে এ ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারছে না। শিশুটি মাকে জানায় সাদা শার্ট পরিহিত কেউ একজন তাকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া শিশুটি আর কিছইু বলতে পারে না। শিশুটি ধর্ষণকারীকে দেখতে পারলে চিনতে পারবে বলে মা দাবী করেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে জানালে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করে।এ বিষয়ে স্থানীয় যুবক জয় কাদরী বলেন, আমরা খবর শুনে ঘটনাস্থলে যায় এবং বুঝতে পারি শিশুটি শারীরিক এসল্টের শিখার হয়েছে। পরে আমরা শিশুটির মাকে সহযোগিতা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমরা চাই থানা পুলিশ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষণকারীকে খুঁজে বের করুক। অপরাধীর কঠিন শাস্তি হোক।এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান বলেন, শিশুর মায়ের অভিযোগ ও শিশুটির অবস্থা দেখে বুঝতে পারি শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দিয়ে ভৈরব থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।এ বিষয়ে ভৈরব থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক কাজী রিপন সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। শিশুটির মায়ের অভিযোগ তার সন্তানকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শিশুটিকে থানা পুলিশের সহায়তায় রাতেই কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর