ভোলার চরফ্যাশন উপকূলের মিঠাপানি অধ্যুষিত মেঘনা-তেঁতুলিয়ার অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান ব্যাপক সাফল্যের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মার্চের শুরু থেকে এপ্রিলের শেষদিন পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়।জানা যায়, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু’র নেতৃত্বে ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত ৫২টি অভিযান এবং ১১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এই অভিযানে ইলিশ জাল ০.৯৮ লক্ষ মিটার, কারেন্ট জাল ১.৭৭ লক্ষ মিটার ও অন্যান্য জাল ১১৭টি জব্দ করা হয়। একইসাথে জব্দ করা অবৈধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬ জনের জেল এবং ৪১ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়া হয়েছে।কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মৎস্য নিধনের ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা বন্ধের জন্য এই অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ২ এপ্রিল বাবুরহাট এলাকায় জেলেদের হামলার শিকার হতে হয়েছে আমাদের। হামলায় কোষ্টগার্ডের সিসিকে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল বাংলাবাজার এলাকায় পুনরায় জলেদের একটি চক্র আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই হামলার ঘটনায় কোস্টগার্ড দুলারহাট থানায় অজ্ঞাতসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ০১ জিআর ১৫/২৫। তিনি বলেন, এরপরেও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে বরাদ্দের অপ্রতুলতা, জনবল সংকট ও প্রয়োজনীয় যানবাহন না থাকায় চরফ্যাশন উপজেলার মতো সুবিশাল জলায়তন নিয়ন্ত্রন করা আমাদের পক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এই উপজেলার প্রায় অর্ধেক জলাশয় অভায়াশ্রমের আওতার বাহিরে রয়েছে। এতে করে অনেকের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।এ সকল অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে দায়িত্ব পালন করেন, অত্র দপ্তরের সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ, ক্ষেত্র সহকারী মাওঃ কামাল উদ্দীন, হাজী আব্বাস উদ্দীন ফরাজীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর