তেল ও গ্যাসের আরও ১৪টি নতুন খনি আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এবং আর রুব আল খালি বা এম্পটি কোয়ার্টারে এসব তেল ও গ্যাসক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া গেছে। এসব নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের ফলে সৌদি আরবকে বৈশ্বিক জ্বালানি খাতে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।বুধবার সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান এই ঘোষণা দেন। খবর আরব নিউজের।তিনি জানান, এবারের আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে ছয়টি নতুন তেলের খনি, দুটি তেলের রিজার্ভার, দুটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র এবং চারটি গ্যাস রিজার্ভার।পূর্ব প্রদেশে জাবুতে নতুন তেল খনি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেখানে জাবু-১ কূপ থেকে প্রতিদিন ৮০০ ব্যারেল হারে অত্যন্ত হালকা অ্যারাবিয়ান ক্রুড তেল উৎপাদিত হচ্ছে। সায়াহিদ খনি থেকেও আশাব্যঞ্জক ফল মিলেছে—সায়াহিদ-২ কূপ থেকে প্রতিদিন ৬৩০ ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব হবে। এছাড়া আইফান-২ কূপ থেকে প্রতিদিন দুই হাজার ৮৪০ ব্যারেল হালকা তেল ও দৈনিক প্রায় ০.৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদিত হয়েছে।জুবাইলা রিজার্ভারে, বেরি-৯০৭ কূপ থেকে প্রতিদিন ৫২০ ব্যারেল তেল এবং ০.২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। মাজালিজ ক্ষেত্রের উনাইযাহ-এ রিজার্ভার থেকেও ম্যাজালিজ-৬৪ কূপের মাধ্যমে প্রতিদিন এক হাজার ১১ ব্যারেল প্রিমিয়াম লাইট ক্রুড এবং ০.৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।এম্পটি কোয়ার্টার অঞ্চলে, নুয়াইর খনির নুয়াইর-১ কূপ থেকে প্রতিদিন এক হাজার ৮০০ ব্যারেল মাঝারি মানের অ্যারাবিয়ান ক্রুড এবং ০.৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।ডামদা-১ কূপে মিশরিফ-সি রিজার্ভার থেকে ২০০ ব্যারেল মাঝারি ক্রুড এবং মিশরিফ-ডি রিজার্ভার থেকে প্রতিদিন ১১৫ ব্যারেল হালকা তেল পাওয়া গেছে। কুরকাস ক্ষেত্র থেকেও প্রতিদিন ২১০ ব্যারেল মাঝারি মানের তেল উত্তোলন সম্ভব হয়েছে।প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার হয়েছে পূর্ব প্রদেশে গিজলান ক্ষেত্রের উনাইযাহ বি/সি রিজার্ভারে—গিজলান-১ কূপ থেকে প্রতিদিন ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং দুই হাজার ৫২৫ ব্যারেল কনডেনসেট পাওয়া গেছে।আরাম খনির আরাম-১ কূপ থেকে প্রতিদিন ২৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং তিন হাজার ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়েছে।এছাড়া, মিহওয়াজ ক্ষেত্রের কুসাইবা রিজার্ভার থেকে মিহওয়াজ-১৯৩১০১ কূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩.৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং ৪৮৫ ব্যারেল কনডেনসেটের সন্ধান মিলেছে।এম্পটি কোয়ার্টারে, মারজুক ক্ষেত্রের আরব-সি ও আরব-ডি রিজার্ভার থেকে যথাক্রমে ৯.৫ এবং ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে। একই কূপ থেকে আপার জুবাইলা রিজার্ভারে প্রতিদিন ১.৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।প্রিন্স আবদুল আজিজ এই আবিষ্কারগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলো সৌদি আরবের জ্বালানি খাতে বৈশ্বিক নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করবে এবং আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।’তিনি বলেন, এই আবিষ্কারগুলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে এবং ‘ভিশন ২০৩০’-এর লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে—যার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং বৈশ্বিক জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর